শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক :
চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস নামের সমস্যার সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। এটি একটি ভাইরাসজনিত সমস্যা। এটি অতিমাত্রায় ছোঁয়াচেও। কিন্তু কখনও কখনও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হলে চোখের কোণে পুঁজ জমাসহ সমস্যা জটিল হতে পারে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চোখের কনজাংটিভাইটিসের কারণ ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস। তবে অ্যালার্জি, সর্দি বা চোখ কোনো রাসায়নিক বা ক্ষতিকর পদার্থের সংস্পর্শে এলেও কনজাংটিভাইটিস প্রদাহ হয় এবং চোখ লাল দেখায়। ভাইরাসজনিত চোখ ওঠায় পাতলা বর্ণহীন পানি পড়ে বেশি। তবে ব্যাকটেরিয়াজনিত হলে নিঃসরণটি ঘন ও একটু হলদেটে হয়ে থাকে।
উপসর্গ :
আক্রান্ত হলে এক চোখ অথবা দুই চোখই জ্বলতে পারে, সঙ্গে চোখ লাল বা গোলাপি আকার ধারণ করতে পারে। জ্বালাপোড়ার সঙ্গে চুলকানি হয়। খচখচে ভাব হতে পারে, মনে হতে পারে চোখে কাঁটা ফুটেছে। চোখ থেকে পানি পড়ে, বারবার সাদা ময়লা আসে। কিছু ক্ষেত্রে চোখে তীব্র ব্যথা হয়। চোখে খচখচ ভাব, অস্বস্তি হয়।
যেভাবে ছড়ায় :
ভাইরাসজনিত প্রদাহ হলে চোখের পানিতে ভাইরাস ভেসে বেড়ায়। যখন এই পানি মুছতে যাই তখনই এটি হাতে এসে যায়। এর পর সেই হাত দিয়ে আমরা যা কিছু ধরি না কেন, সেখানে ভাইরাস চলে আসে। যেমন কারও সঙ্গে করমর্দন, টিভি-এয়ারকন্ডিশনার রিমোট, ব্যবহূত তোয়ালে, বিছানার চাদর, বালিশের কভার, মোবাইল ফোন ইত্যাদিতে চলে আসতে পারে। এ জন্য আক্রান্ত ব্যক্তিকে এই সময়ে বাসায় থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়। তাঁর ব্যবহূত জিনিসপত্রও আলাদা রাখা ভালো।
চিকিৎসা ও প্রতিরোধ :
ভাইরাসজনিত চোখ ওঠার তেমন কোনো চিকিৎসা নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসা নেওয়া হোক আর না হোক, এটি বেশ কয়েক দিন পর এমনিতেই সেরে যায়। চিকিৎসা ষসাধারণ চোখ ওঠা এক থেকে তিন সপ্তাহে সেরে যায়।
ষঠান্ডা বা সর্দির মতো উপসর্গ থাকলে কেবল অ্যান্টিহিস্টামিন সেবনই যথেষ্ট।
ষঅ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ডোজ মেনে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে চক্ষুবিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া চোখে ওষুধ ব্যবহার না করাই উত্তম।
এই সময়ে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি-
– চোখে কোনোমতেই হাত দেওয়া যাবে না।
– হাত সব সময় সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে পরিস্কার রাখতে হবে।
-চোখের পানি বা ময়লা মোছার জন্য আলাদা তোয়ালে বা রুমাল ব্যবহার
করতে হবে।
– পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। অপরিস্কার রুমাল ব্যবহার করা যাবে না।
– এই সময়ে কালো চশমা পরা যেতে পারে। এতে বাইরের ধুলাবালু বা বাহ্যিক আঘাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ষবাইরের পানি দিয়ে ঝাঁপটা দেওয়া যাবে না।
ষচিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু ওষুধ খাওয়া উচিত।
ষহাত না ধুয়ে যখন-তখন চোখ ঘষা বা চুলকানো যাবে না।
Leave a Reply