নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি, মধ্য ও নিম্ন-আয়ের মানুষের নীরব আর্তনাদ - বঙ্গ সমাচার নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি, মধ্য ও নিম্ন-আয়ের মানুষের নীরব আর্তনাদ - বঙ্গ সমাচার

বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:২৩ অপরাহ্ন

জরুরী বিজ্ঞপ্তি :
জেলা ভিত্তিক প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আমাদের পরিবারে যুক্ত হতে আপনার সিভি পাঠিয়ে দিন bongosamacharnews@gmail.com এই ঠিকানায়। বিজ্ঞাপনের জন্য  ইমেইল করুন bongosamacharnews@gmail.com এই ঠিকানায়।

নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি, মধ্য ও নিম্ন-আয়ের মানুষের নীরব আর্তনাদ

 অনলাইন ডেস্ক :

নিত্যপণ্যের দাম দিনের পর দিন লাগামহীনভাবে বৃদ্ধিসহ সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যয় বৃদ্ধির ফলে নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর সংসার চালানো দায় হয়ে যাচ্ছে। আয় না বাড়লেও একের পর এক ব্যয় বৃদ্ধির কারণে এসব পরিবারে এখন নীরব হাহাকার চলছে।

করোনা মহামারির দুর্যোগের কারণে অর্থনৈতিকভাবে মানুষ চরম ক্ষতিগ্রস্ত। এরই মধ্যে নিত্যপণ্যসহ সমাজের প্রায় সব ধরনের সেবার ব্যয় বৃদ্ধিতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো যথেষ্ঠ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। এ বছরের শুরু থেকেই বাড়তে থাকে নিত্যপণ্যের দাম। গত ৬ মাসে চালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকারও বেশি। এরই মধ্যে চলতি মাসেই বেড়েছে আরও ৩-৪ টাকা। ‘বিআর-২৮’ নামের সরু-মোটা চালের কেজিও এখন ৫৫ টাকার বেশি। মধ্যম মানের মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। আটার কেজি ৬০ টাকায় উঠেছে। সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম এখনো আকাশছোঁয়া। রাজধানীর সর্বত্রই সয়াবিন তেল ২০০ থেকে ২১০ টাকা লিটার। চিনির কেজি ৮৫ টাকা।

এছাড়ও ৪০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি মিলছে না। বেশিরভাগ সবজিই ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মৌসুমের শুরুতে ১৫ টাকা কেজির গোল আলু গত মাসে ২৫ টাকায় উঠলেও এখন তা ৩৫ টাকার নিচে নেই।

রাজধানীতে পেঁয়াজের কেজি এখন দেশীয় পেঁয়াজের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা। রসুন ও আদার দাম কিছুটা সহনীয় হলেও ভোজ্যতেল, চিনি ও চালের অস্থিতিশীল বাজারে নিম্ন-মধ্যবিত্তরা চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন।

এ বিষয়ে কথা হয় ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করা তারিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি যে বেতন পাই, তা দিয়ে পরিবার নিয়ে বাসাভাড়া করে মোটামুটি ভালো চলত। হঠাৎ দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পড়েছি চরম বিপাকে। এমতাবস্থায় কী করব ভেবে পাচ্ছি না। শেষে না হয় পরিবার বাড়ি পাঠিয়ে দেব। কারণ দ্রব্যের দাম বাড়ে, কিন্তু বাড়ে না শুধু আমাদের বেতন।

বাসায় কাজ করা আমেনা খালা বলেন, আমি চারটি বাসায় কাজ করি, মাসে আয় হয় ১২ হাজার টাকা। আমার স্বামী ইচ্ছা হলে কাজে যায়, না হলে যায় না। আমার ওপর নির্ভর করে চলে সংসার। দুইটি মেয়ে- এক মেয়ে কলেজের পড়া বন্ধ করে দিয়েছি আগেই টাকার অভাবে। ছোট মেয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। দ্রব্যমূল্যর যে দাম, তাতে মনে হয় তার লেখাপড়া বন্ধ ছাড়া আর উপাই নেই। এমনিতে মাঝে মধ্যেই না খেয়ে থাকতে হয়, তার ওপর আবার মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।

এ বিষয় জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক দোকানদার বলেন, বর্তমান দেশ চলছে সম্পূর্ণ উদাসীনভাবে। যার যখন যা মনে হচ্ছে তাই করছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার- এ সুযোগ নিচ্ছে বিভিন্ন স্বার্থন্বেসী মহল। এই ইস্যু নিয়ে তারা প্রতিটি জিনিসের দাম মাত্রাতিরিক্ত বাড়াচ্ছে। আমরা কী করব? আমরাও তো সাধারণ দোকানদার।

সংবাদটি শেয়ার করুন


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পূর্বানুমতি ব্যাতিত এই সাইটের কোন লেখা, ছবি বা ভিডিও ব্যাবহার করা নিষিদ্ধ।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com