শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০৬:২১ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক :
রাজশাহীর একটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। স্কুলটির ক্লিনার কাম-গার্ডেনারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। রোববার সকালে রাজশাহী মহানগরীর একটি স্কুলে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর সোমবার স্কুলে যায়নি ওই ছাত্রী।
তবে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, ঘটনার পর স্কুলটির সেন্টার ইনচার্জ অভিযুক্ত আবদুল হাকিমের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। তাই সেন্টার ইনচার্জকে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছেন শিশুটির বাবা।
তিনি জানান, রোববার সকালে সবার আগে স্কুলে যায় তার মেয়ে। এ সময় একা পেয়ে তার মেয়েকে জাপটে ধরে শ্লীলতাহানি করেন হাকিম। পরে সেন্টার ইনচার্জ এলে ওই ছাত্রী বিষয়টি তাকে জানান। এ সময় সেন্টার ইনচার্জ আবদুল হাকিমের কাছ থেকে একটি মুচলেকা নেন। সেখানে হাকিম নিজের দোষ স্বীকার করে লেখেন- নোংরা ঘটনার জন্য তিনি অনুতপ্ত। তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করছেন।
পরবর্তীতে এ ধরনের কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে অফিস কর্তৃপক্ষ তাকে যে শাস্তি দেবে তিনি তা মাথা পেতে নিতে বাধ্য থাকবেন। সাক্ষী হিসেবে এই মুচলেকায় সই করেন সেন্টার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল কামাল ও ইনস্ট্রাক্টর শাহানাজ বেগম, মো. শফিকুজ্জামান, হাসান হাফিজুর রহমান এবং শহিদুল ইসলাম।
শিশুটির বাবা বলছেন, তার মেয়ের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে জানায়নি। বরং অভিযুক্তের একটি মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এভাবে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করায় তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপক শাহীনুল ইসলামের কাছে সেন্টার ইনচার্জকে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছেন। অভিযুক্ত সেন্টার ইনচার্জ কামালের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে অভিভাবকরা আন্দোলনে নামবেন।
সোমবার সকালে স্কুলটিতে গিয়ে দেখা যায়, সেন্টার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল কামাল নেই। আসেনি ভুক্তভোগী ছাত্রীও। সেন্টার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পাশের আরেকটি স্কুলের সেন্টার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন শিকদার। তিনি জানান, আব্দুল্লাহ আল কামালকে সোমবার থেকে আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। তাই তিনি এসেছেন।
মুচলেকা নিয়ে অভিযুক্ত হাকিমকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোববার আমি ছিলাম না। তাই জানি না। এটা করা হয়ে থাকলে সেটা ঠিক হয়নি।
আব্দুল্লাহ আল কামাল বলেন, তিনি হাকিমকে ছাড় দেননি। সে জন্যই ঘটনার প্রমাণ রাখতে মুচলেকা নিয়ে রেখেছেন।
ইউসেপ বাংলাদেশের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক শাহীনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর অভিযুক্ত হাকিমকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ সঠিক নয়।
এ ব্যাপারে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন বলেন, একা পেয়ে হাকিম শিশুটিকে যৌন হয়রানি করেছে। জাপটে ধরে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়া হয়েছে। তাই যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply