বিশ্বের বৃহত্তম রাষ্ট্রবিহীন জনগোষ্ঠী হচ্ছে আসামের ৪০ লাখ বাংলাভাষী! - বঙ্গ সমাচার বিশ্বের বৃহত্তম রাষ্ট্রবিহীন জনগোষ্ঠী হচ্ছে আসামের ৪০ লাখ বাংলাভাষী! - বঙ্গ সমাচার

সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন

জরুরী বিজ্ঞপ্তি :
জেলা ভিত্তিক প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। আমাদের পরিবারে যুক্ত হতে আপনার সিভি পাঠিয়ে দিন bongosamacharnews@gmail.com এই ঠিকানায়। বিজ্ঞাপনের জন্য  ইমেইল করুন bongosamacharnews@gmail.com এই ঠিকানায়।

বিশ্বের বৃহত্তম রাষ্ট্রবিহীন জনগোষ্ঠী হচ্ছে আসামের ৪০ লাখ বাংলাভাষী!

সম্প্রতি ভারতের আসামে নাগরিকত্ব তালিকা থেকে ৪০ লাখ বাংলাভাষী নাগরিক বাদ পড়েছে। আর এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে তা বিশ্বের বৃহত্তম রাষ্ট্রবিহীন জনগোষ্ঠী সৃষ্টি করতে পারে। দিল্লিভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাংক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। ১৬ আগস্ট সংস্থাটি এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

সংস্থাটি সুপারিশ করেছে, বর্তমানে নেপালি ও ভুটানি নাগরিকরা যেভাবে ভারতে উন্মুক্ত যাতায়াত করতে পারছে, তেমন একটি ব্যবস্থা চালু করার বিষয়ে ভারত ও বাংলাদেশ আলোচনা শুরু করতে পারে।জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বিষয় ও নিরাপত্তাকে একত্রে নয়, দুটিকে আলাদা বিষয় ধরে ভারত ও বাংলাদেশ আলোচনা চালাতে পারে। তবে এভাবে চলতে থাকলে ভারতে ‘বাংলাভাষীরা’ আমেরিকার-মেক্সিকান সংকটে রূপ নিতে পারে।

সংস্থাটির রিপোর্ট বলছে, সম্প্রতি প্রকাশিত প্রাথমিক খসড়ায় ৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। তাদের সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবেই দেখা হচ্ছে। এখন যদিও ওই তালিকা যাচাইয়ের কাজ চলছে। কিন্তু কোনো কারণে যদি খসড়া তালিকা তৈরির প্রক্রিয়ায় যারা জড়িত ছিল, এখন যাচাইয়ের কাজ যদি তাদের দ্বারাই করা হয় তাহলে ভুল থাকার আশংকাই সত্য হতে পারে।

সংস্থাটির রিপোর্টে বলা হয়, অ-নাগরিক হিসেবে ৪০ লাখ মানুষকে চিহ্নিত করার ফলে এখন যাচাইয়ের কাজটি অত্যন্ত জটিল হয়ে পড়েছে। কারণ এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে দৈহিকভাবে চিহ্নিত করা এবং তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া কঠিন বিষয়।

ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, অাসাম প্রক্রিয়ায় যেভাবে ৪০ লাখ মানুষকে প্রাথমিকভাবে অনাগরিক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে তা দেশের সকল মিডিয়া সমর্থন করেছে। মিডিয়া এটাও ইঙ্গিত করেছে, এই ৪০ লাখ মানুষই বাংলাদেশি।

রিপোর্ট বলছে, ভারত আশা করতে পারে না যে, যখনই এই ব্যক্তিদের ফেরত নিতে অনুরোধ জানাবে, তখন বাংলাদেশ সরকার তা পালন করবে। বাংলাদেশ এমনতিই রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের নিয়ে বিপদে আছে। ভারত সরকার যদিও বারংবার আশ্বস্ত করছে, যে খসড়া তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে তা কেবলই খসড়া, এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। যেখানেই প্রধানমন্ত্রী মোদিও নেতৃত্বাধীন বিজিপি সরকার রয়েছে সেখানেই একই রকম বিদেশি খেদাও দাবি উঠেছে। এখন যদি তা মানা শুরু হয় তাহলে বাস্তবে কোনো সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে তা আরো জটিল হতে পারে।

রিপোর্টে দাবি করা হয়, বর্তমানে লাখ লাখ না হলেও হাজার হাজার বাংলাদেশি ভারত জুড়ে বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছে। এখন তাদের বিতাড়নের ব্যাপারে যদি সামাজিক প্রতিবাদ গড়ে ওঠে তাহলে তা আমেরিকার মেক্সিকান সমস্যার মতো একটি ইস্যুতে পরিণত হতে পারে। আমেরিকার নির্বাচনগুলোতে অবৈধ মেক্সকান বিতাড়ন একটি অব্যাহত স্লোগানে পরিণত হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পূর্বানুমতি ব্যাতিত এই সাইটের কোন লেখা, ছবি বা ভিডিও ব্যাবহার করা নিষিদ্ধ।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com